HOME LOAN
প্রয়োজন যখন
হোম লোন
একটি বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্ট নিজের করে নেওয়ার স্বপ্ন পূরণে নানা বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। অন্যতম একটি চিন্তা থাকে এর আর্থিক যোগান দিতে। বর্তমানে বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্টের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হিসেবে আপনার পাশেই রয়েছে বেশকিছু ব্যাংক ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান- যারা বিভিন্ন শর্তে বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে দিয়ে থাকে হোম লোন। বিভিন্ন মেয়াদে আপনিও শর্ত পূরণ করে পেতে পারেন আপনার বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য হোম লোন। জেনে নিন এমনই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের খবরাখবর-
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন
বাড়ী বা ফ্ল্যাট কিনতে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১৫ বছর মেয়াদের জন্য ১২ শতাংশ সুদ হারে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন। ঋণ গ্রহণের জন্য গ্রহীতাকে বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের নকশার ফটোকপি, জমির সয়েল টেস্ট রিপোর্টের সত্যায়িত কপি এবং সংশিস্নষ্ট বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের কাঠামো নকশা কমপড়্গে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার/ নির্বাহী প্রকৌশলী/ প্রকৌশল পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কতৃêক ইস্যুকৃত ইমারতের ভার বহনের ড়্গমতা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। ঋণ আবেদনকারীর আয়ের প্রমাণপত্র যেমন- চাকরির ক্ষেত্রে ঋণ আবেদন ফরমের নির্দিষ্ট পাতায় বেতন সনদ এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ও আয় সম্পর্কে হলফনামা, আয়কর পরিশোধযোগ্য আয় হলে আয়কর নির্ধারণী আদেশের সার্টিফায়েড কপি ইত্যাদি অফিসে জমা দিতে হবে।
দরখাস্ত ফি জমা প্রদানের রসিদ (প্রতি হাজারে ৫ টাকা হারে) দিতে হবে। ফরমাল ঋণ আবেদনপত্রের মূল্য ১ হাজার টাকা। এমরটাইজড পদ্ধতিতে সব কিস্তির পরিমাণ সমান হবে। বার্ষিক ১২ শতাংশ হার সুদে ১৫ বছরে পরিশোধ মেয়াদে প্রতি লাখ টাকার মাসিক কিস্তির পরিমাণ ১ হাজার ২০১ টাকা, ১০ বছরের পরিশোধ মেয়াদে প্রতি লাখ টাকার মাসিক কিস্তির পরিমাণ ১ হাজার ৪৩৫ টাকা এবং ৫ বছরে পরিশোধ মেয়াদে প্রতি লাখ টাকার মাসিক কিস্তির পরিমাণ ২ হাজার ২২৫ টাকা। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ জোনাল ম্যানেজার কর্তৃক ঋণগ্রহীতার সঙ্গে আলোচনাক্রমে তার সম্মতিক্রমে ৫ বছর থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত (তবে সবার বেলায় ১৫ বছর মেয়াদ দেওয়া হয় না) নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
ডেল্টা-ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ)
হাউজিং পস্নট লোনের জন্য ডিবিএইচ-এ বর্তমান সুদের হার ১২-১৩ শতাংশ এবং অ্যাপার্টমেন্ট লোন ১০.৭৫ শতাংশ এবং সে অনুযায়ী মাসিক কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। ডিবিএইচ হাউজিং প্লট লোন এবং অ্যাপার্টমেন্ট লোনের ফরম যথাযথ পূরণপূর্বক ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ডিবিএইচ কতৃক মূল্যায়নের ভিত্তিতে হাউজিং প্লটের মূল্যের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ এবং অ্যাপার্টমেন্ট মূল্যেরও সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ডিবিএইচ-এ আপনি হাউজিং প্লট লোনের জন্য ১ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত এবং অ্যাপার্টমেন্ট লোনের জন্য ১ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন।সাধারণত এই সময়সীমা গ্রাহকের অবসরপ্রাপ্তির বয়স অথবা ৬৫ বছর বয়স অতিক্রম করবে না। তবে ডিবিএইচ আবেদনকারীর সঙ্গে আলোচনা করেই এই ঋণের মেয়াদ নির্ধারিত হয়।
ডিবিএইচ হাউজিং প্লট লোন এবং অ্যাপার্টমেন্ট লোন অনুমোদনের ক্ষেত্রে মূল মানদণ্ড হলো গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা এবং ঋণের বিপরীতে জামানত হিসাবে প্রদেয় সম্পত্তির আইনগত ও কাঠামোগত বৈধতা।
ডিবিএইচ হাউজিং লোন এবং অ্যাপার্টমেন্ট লোন গ্রহণের ড়্গেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য ঋণ সংক্রান্ত ফিসের হার ১ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঋণ সংক্রান্ত ফিসের ওপর বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। সকল প্রকার ঋণ সংক্রান্ত ফিস ‘ক্রসড চেক’-এর মাধ্যমে ডিবিএইচ বরাবর পরিশোধ করতে হয়।
ডিবিএইচ থেকে লোন প্রাপ্তির জন্য যে সম্পত্তির বিপরীতে আপনি ঋণ নিচ্ছেন, সেই সম্পত্তিই আপনাকে ডিবিএইচ-এ ঋণের জামানত হিসাবে রাখতে হবে। তবে ডিবিএইচ-এর কাছে গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো সম্পত্তির জামানতের বিনিময়েও আপনি ডিবিএইচ থেকে লোন নিতে পারেন। ডিবিএইচ থেকে লোন গ্রহণের ড়্গেত্রে আইন অনুযায়ী সম্পত্তির জামানত রেজিস্ট্রি করা অবশ্যক।
ডিবিএইচ ঋণের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, ইচ্ছা করলে আপনি নির্ধারিত সময়ের আগেই ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডিবিএইচ কতৃক নির্ধারিত শর্তাবলী প্রযোজ্য। সহজ ও দ্রম্নত ডিবিএইচ হাউজিং ও অ্যাপার্টমেন্ট লোন নিয়ে হাজারো পরিবার ইতোমধ্যে গড়ে নিয়েছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা।
HSBC (Home Loan)
এইচএসবিসি
এইচএসবিসি ব্যাংক শুধু ফ্ল্যাটের জন্য লোন দিয়ে থাকে। লোনের পরিমাণ ফ্ল্যাটের মূল্যের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ ড়্গেত্রে সুদের হার ১১-১২ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে যা সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এখান থেকে লোন গ্রহণ করতে হলে গ্রাহকের বয়স অবশ্যই ২৫ বছর থেকে বেশি হতে হবে এবং ৫৫ বছর থেকে কম হতে হবে। লোন গ্রহণের জন্য গ্রাহক যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকে তবে তার ব্যবসার সমর্থনে শেষ ৩ বছরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি এবং চাকরিজীবী হলে শেষ ২ বছরের বেতন বিবরণী ব্যাংককে দেখাতে হবে।
শর্ত থাকে যে, ব্যবসায়ীদের ড়্গেত্রে মাসিক উপার্জন সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে মাসিক উপার্জন সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার টাকা হতে হবে। অন্যথায় গ্রাহকের ঋণপ্রাপ্তির যোগ্যতা থাকবে না।
আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড
গ্রাহকদের বাড়ী নির্মাণ, কনস্ট্রাকসন বা তলা বাড়ানো এবং ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য লোন দিয়ে থাকে আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড। এ ড়্গেত্রে আইডিএলসি গ্রাহকদের দুই ধরনের সুদের হার প্রস্তাব দিয়ে থাকে। একটি ‘ফিক্সড’ এবং অন্যটি ‘ভেরিয়েবল’। ফিক্সড-এর ক্ষেত্রে সুদের বর্তমান হার ১৩.৫০ শতাংশ এবং ভেরিয়েবল-এর ক্ষেত্রে বর্তমান সুদের হার ১০.৯৯ শতাংশ। ফিক্সড-এর ক্ষেত্রে সুদের হার পরবর্তী সময়ে বাড়লেও গ্রাহক ওই পরিমাণ সুদই দিতে থাকবে। আর ভেরিয়েবল-এর ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে সুদের পরিমাণ বাড়লে বা কমলে তখন গ্রাহক ওই পরিমাণ সুদ দিতে বাধ্য থাকবে।
আইডিএলসি লোনের ফরম যথাযথ পূরণ করে আপনার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা আইডিএলসি কতৃক মূল্যায়নের ভিত্তিতে আপনাকে হাউজিং পস্নট বা অ্যাপার্টমেন্ট মূল্যের সর্বোচ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা যেতে পারে। আপনি সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। সাধারণত এই সময়সীমা গ্রাহকের অবসরপ্রাপ্তির বয়স অথবা ৬৫ বছর বয়স অতিক্রম করবে না। আইডিএলসি লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য ঋণ সংক্রান্ত ফিসের হার ১জ্ঝ৫ শতাংশ এবং ভ্যাট ১৫ শতাংশ প্রযোজ্য। যে সম্পত্তির বিপরীতে আপনি ঋণ নিচ্ছেন, সেই সম্পত্তিই আপনাকে আইডিএলসিতে ঋণের জামানত হিসাবে রাখতে হবে।
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
গ্রাহকগণ হাউজিং লোন পেতে পারেন পূবালী ব্যাংক থেকেও। এ ক্ষেত্রে সুদের হার ১৩ শতাংশ যা প্রত্যেক তিন মাস পর পর হিসাব করা হয়। আপনার ঋণ পরিশোধের ড়্গমতা পূবালী ব্যাংক কতৃক গোপনে মূল্যায়নের ভিত্তিতে আপনাকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ বছর মেয়াদে প্রদান করা যেতে পারে। এই সময়সীমা গ্রাহকের অবসরপ্রাপ্তির বয়স অথবা ৬০ বছর বয়স অতিক্রম করবে না। পূবালী ব্যাংকে লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য ঋণ সংক্রান্ত ফিসের হার ১ শতাংশ এবং ভ্যাট ১৫ শতাংশ।
Standered Chartered Bank
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে হাউজিং লোন এবং অ্যাপার্টমেন্ট লোনের জন্য হাউজিং বা অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। তবে হাউজিং লোনের ক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, শুধু বাড়ির প্রথম তলার ছাদ হওয়ার পর থেকে লোন গ্রহণ করা যাবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর। ঋণ সংক্রান্ত ফিসের হার বর্তমানে ১.৫ শতাংশ এবং সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য।
ঋণের বিপরীতে জামানত হিসাবে যে সম্পত্তির বিপরীতে আপনি ঋণ নিচ্ছেন, সেই সম্পত্তিই আপনাকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কাছে রাখতে হবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ঋণের সুবিধা হচ্ছে একমাত্র এই ব্যাংকই গ্রাহককে উক্ত সম্পত্তির বিপরীতে ‘ইন্স্যুরেন্স’ সুবিধা দিয়ে থাকে। যেখানে ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পরও তার মাসিক কিস্তি ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হয়।
ফিডেলিটি অ্যাসেট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড
এ প্রতিষ্ঠান থেকে হোম লোনের জন্য আপনি বাড়ী নির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য মোট ক্রয়মূল্যের ৭০ শতাংশ বা ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। ঋণের সুদের হার ১৭ শতাংশ, প্রসেসিং ফি ১ শতাংশ এবং অন্য যাবতীয় খরচ একচুয়াল হবে। আর সব ক্ষেত্রেই আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি এবং সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে ঋণের জামানত হিসাবে রাখতে হবে।
Brack Bank
ব্র্যাক ব্যাংক
বর্তমানে সবচেয়ে কম হারের সুদে হাউজিং এবং অ্যাপার্টমেন্ট লোন দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। সুদের পরিমাণ ৯.৮ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত গ্রাহকদের ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে, যা ২০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত পরিশোধযোগ্য। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বয়সসীমা ৫৫-৫৮ হয়ে থাকে। ব্র্যাক ব্যাংকে বর্তমানে প্রযোজ্য ঋণ সংক্রান্ত ফিসের হার ১৫ লাখ টাকার নিচে হলে ১.৫ শতাংশ এবং ১৫ লাখ টাকার ওপর হলে ১ শাতংশ।
Lanka Bangla Finance
লঙ্কা বাংলা ফিন্যান্স লিমিটেড
লঙ্কা বাংলা ফিন্যান্স লিমিটেড থেকে নতুন বাড়ী নির্মাণ, ফ্ল্যাট ক্রয় এবং বাড়ী সংস্ড়্গরণ বা বাড়ীর তলা বাড়ানোর জন্য ঋণ সুবিধা পাওয়া যায়। ঋণ পরিশোধের ড়্গমতা লঙ্কা বাংলা কতৃক মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রাহককে প্লট বা অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যের সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ ঋণ দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বর্তমান প্রযোজ্য সুদের হার ১৩ শতাংশ এবং সে অনুযায়ী মাসিক কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। লঙ্কা বাংলা বাড়ী নির্মাণ বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বছর এবং বাড়ী সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ দিয়ে থাকে। যদি গ্রাহকের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে এবং গ্রাহকের নামে অন্য কোনো বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই এবং গ্রাহক যদি এর আগে কোনো ব্যাংক বা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ী নির্মাণ বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য লোন না নিয়ে থাকে তবেই উক্ত গ্রাহককে লঙ্কা বাংলা লোন দিয়ে থাকে। লঙ্কা বাংলা ফিন্যান্স লিমিটেডের লোন গ্রহণের ড়্গেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য ঋণ সংক্রান্ত ফিসের হার ১ শতাংশ এবং ভ্যাট ১৫ শতাংশ। অবশ্যই যে সম্পত্তির বিপরীতে আপনি ঋণ নিচ্ছেন, সেই সম্পত্তিই আপনাকে লঙ্কা বাংলার কাছে ঋণের জামানত হিসাবে রাখতে হবে। লঙ্কা বাংলার লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সম্পত্তির জামানত রেজিস্ট্রি করা আবশ্যক।
Prime Bank Ltd.
প্রাইম ব্যাংক
প্রাইম ব্যাংকে হোম লোনের বর্তমান প্রযোজ্য সুদের হার ১৩ শতাংশ। আপনার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা প্রাইম ব্যাংক কতৃক মূল্যায়নের ভিত্তিতে আপনাকে বাড়ী নির্মাণের জন্য কনস্ট্রাকশনের জন্য ৬০ শতাংশ এবং ফ্ল্যাটের ক্রয়মূল্যের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা যেতে পারে। উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আপনাকে ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। বাড়ী নির্মাণের জন্য আপনাকে অবশ্যই কমপড়্গে এক তলা পর্যন্ত করতে হবে নতুবা ব্যাংক আপনাকে ঋণ সুবিধা দেবে না। প্রাইক ব্যাংক গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১৫ বছর মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে থাকে। সাধারণত এই সময়সীমা গ্রাহকের অবসরপ্রাপ্তির বয়স অথবা ৬৫ বছর বয়স অতিক্রম করবে না। গ্রাহকের বয়স যদি ৫৫ বছর হয়ে থাকে তাহলে ব্যাংক তাকে ১০ বছরের মেয়াদে আর গ্রাহকের বয়স যদি ৫০ বা তার নিচে হয়ে থাকে তবে ব্যাংক তাকে ১৫ বছরের মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে থাকে। প্রাইম ব্যাংকে লোন গ্রহণের ড়্গেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য ঋণ সংক্রান্ত ফিসের হার ১ শতাংশ এবং রিস্ক পয়েন্ট ০.৫ শতাংশ। গ্রাহক যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকে তাহলে তার ব্যবসার সমর্থনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ব্যাংক বিবরণী ইত্যাদি এবং যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকে তাহলে তাকে কোনো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির বিগত ২-৩ বছরের বেতন বিবরণী দেখাতে হবে। আপনি প্রাইম ব্যাংক হোম অথবা ফ্ল্যাট যে জন্য লোন নিয়ে থাকেন না কেন মাসিক কিস্তির পরিমাণ একই থাকবে। প্রতি লাখের বিপরীতে ১০ বছরের জন্য ১ হাজার ৪৬৮ টাকা এবং ১৫ বছরের জন্য ১ হাজার ২৬৬ টাকা মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
IFIC Bank Ltd.
আইএফআইসি ব্যাংক
আপনি যদি নতুন ফ্ল্যাট ক্রয় করতে চান বা আপনার বাড়ী সংস্কার বা তলা বাড়াতে চান তাহলে আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পেতে পারেন। হোম লোন মোট কনস্ট্রাকশনের খরচের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ঋণের হার ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্যও প্রযোজ্য। সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আপনাকে সুবিধা দেবে। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১৫ বছর পর্যন্ত এবং ঋণগ্রহীতার বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে হবে না। ঋণের সুদ ১৩ শতাংশ, প্রসেসিং ফি ১ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। আপনি যদি ফ্ল্যাটের জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন তাহলে মোট ১৮০ মাসের কিস্তির পরিমাণ হবে ৩১ হাজার ৭১০ টাকা আর যদি আপনি বাড়ী নির্মাণের জন্য ৩৫ লাখ গ্রহণ করেন তাহলে মোট ১২০ মাসের কিস্তির পরিমাণ হবে ৫৭ হাজার ৩১০ টাকা। সবক্ষেত্রেই আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি এবং সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে ঋণের জামানত হিসাবে রাখতে হবে।
Eastern Bank Ltd.
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
বাড়ীর কনস্ট্রাকশন ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য আপনি ইচ্ছা করলে ইস্টার্ন ব্যাংক থেকেও ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। এই ড়্গেত্রে আপনার বাড়ীর জন্য কমপক্ষে এক তলা পর্যন্ত নির্মাণ করার পর ঋণ আবেদন করা যাবে। ঋণের পরিমাণ হবে বাড়ীর কনস্ট্রাকশন খরচের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ। এই ঋণের হার নতুন ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্যও প্রযোজ্য। যা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্তও হতে পারে। অর্থাৎ ব্যাংক আপনাকে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দিতে পারবে। তবে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সামর্থের ওপর। ঋণের সুদ ১০.৫০ শতাংশ, প্রসেসিং ফি ১.২৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ ২০ বছর। আর সব ক্ষেত্রেই আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি এবং সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে ঋণের জামানত হিসাবে রাখতে হবে।
Duch-Bangla Bank Ltd.
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
ডিবিবিএল-এ হোম লোনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা। যদি নতুন ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য লোন নেয়া হয়ে থাকে এ ড়্গেত্রে ফ্ল্যাটের বিপরীতে প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি দেখাতে হবে। আর যদি বাড়ী নির্মাণের জন্য লোনের আবেদন করা হয়ে থাকে তাহলে গ্রাহককে কমপক্ষে বাড়ীর এক তলা ফাউন্ডেশন করতে হবে নতুবা ব্যাংক গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দেবে না। ঋণের সুদের হার ১৩ শতাংশ, প্রসেসিং ফি ০.৫০ শতাংশ এবং অন্য খরচগুলো একচুয়াল হবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১৫ বছর। গ্রাহক যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকে তাহলে তার ব্যবসার সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকে তাহলে তার বেতন বিবরণী ব্যাংককে দেখাতে হবে। গ্রাহকের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে হবে না। আর সব ক্ষেত্রেই আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি এবং সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে ঋণের জামানত হিসাবে রাখতে হবে।
সূত্রঃ ২০০০
No comments:
Post a Comment